বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাগিদ পিকেএসএফ চেয়ারম্যানের
২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত কার্যক্রমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার পিকেএসএফ ভবনে স¤প্রসারিত কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাট (ইসিসিপি-ড্রাট) প্রকল্পের অধীনে এক কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে খরার প্রভাব মারাত্মকভাবে অনুভ‚ত হচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষকে রক্ষা করতে সুচিন্তিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর অর্থায়নে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্প বরেন্দ্র অঞ্চলের নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার ১৪টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ‘আশা করি, এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
ইসিসিপি-ড্রাট প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থার মোট ৬৬ জন কর্মকর্তাকে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশল বিষয়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫-১৬ ও ১৯-২৩ জানুয়ারি মেয়াদে দু’টি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণটিতে জলবায়ু অর্থায়ন, প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত ও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন এবং দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহবান জানান।
প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংবলিত ইসিসিপি-ড্রাট প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ মেয়াদে বাংলাদেশের খরাপ্রবণ এলাকাসমূহের দরিদ্র, প্রান্তিক ও জলবায়ু অভিঘাতে ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি মূলত মাত্রাতিরিক্ত খরা প্রবণ জেলাসমূহে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিকাজ এবং সুপেয় পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃত্রিম উপায়ে ভ‚-গর্ভস্থ পানির স্তর পুনঃভরণ, পুকুর ও খাল পুনঃখনন এবং খরা সহিষ্ণু ফসলের চাষ স¤প্রসারণ। প্রকল্পটির মাধ্যমে ২.১৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
২০২৮ ইউরো পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগালসম্যান
পাকিস্তানে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা স্থগিত
সাবেক ২৪ এমপি’র গাড়ি নিলামে উঠছে রোববার
মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া
অ্যালাউন্স ছাড়া কোনো ভাতা পাবেন না রেলকর্মীরা
ড. ইউনূসের পরিবার সম্পর্কে ইন্ডিয়া ডটকম-এর প্রতিবেদন মিথ্যা : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছাত্রদল নেতা মিথুন রিমান্ডে, ছয় সমর্থক কারাগারে
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কুনমিংয়ে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
বিএনপির ‘কথার টোন আ.লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে’
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত
বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন আল গোরের
২০২৪ সালে জলবায়ু সঙ্কটে দেশের সোয়া ৩ কোটি শিশুর শিক্ষা ব্যাহত
মাদারীপুরে মানবপাচারকারীকে গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল
জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে ফিরে আসবে ফ্যাসিস্টরা : কুড়িগ্রামে ডা. শফিকুর রহমান
মোরেলগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎতের মিটার সংকট মিলছে না সংযোগ : গ্রাহকদের ভোগান্তি
রাউজানে জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
বাজারে পলিথিন কেন সেটা না ভেবে ভাবুন কেন ব্যবহার করছেন : পরিবেশ উপদেষ্টা
আড়াইহাজারে পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করলো জনতা
টিকটকারদের যন্ত্রণায় বিব্রত মেট্রোরেল যাত্রীরা
কুষ্টিয়ার মিরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলায় আটক ২